বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২, ০২:০৬ অপরাহ্ন
আলী আক্বাছ নুরী
২০১৬ সালে লোহাগাড়া থানায় ‘এমপি নদভী’ বিরোধী লোকদের বিরুদ্ধে ‘তথ্য প্রযুক্তি আইনে’ মামলা হয়। সেখানে ১৬ জন আসামী থাকলেও এজহারে আমার নাম ছিল না। কিন্তু ২০২১ সালে এসে সব আসামীদের বাদ দিয়ে চার্জসীটে শুধু আমার নামটিই তুলে দেয়া হয়। (২০১৬-২০২২) গত ৫ বছর আমি জানতামও না আমার নামে লোহাগাড়া থানায় মামলা হয়েছে। গত ২৬ মে’২২ রাত ৯.৩০ টায় সিভিলে কয়েকজন পুলিশ আমার অফিসে আসলেন। বললেন, আপনার নামে কোর্টের ওয়ারেন্ট আছে, একটু থানায় যেতে হবে। সারারাত থানায় ছিলাম। প্রশাসনের উর্ধ্বতন বহু অফিসারের সাথে আমার সুসম্পর্ক। কয়েকজনকে ফোন দিলাম। তারা বললেন, কোর্টের আদেশ করার কিছুই নেই। দেশের এমপি-মন্ত্রীরাও এ আদেশ অমান্য করতে পারবে না। তাই নীরব হয়ে গেলাম।
পরদিন ২৭ মে বৃহস্পতিবার কোর্টে নিতে নিতে কোর্ট টাইম শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা আমাকে জেলে পাঠিয়ে দেয়। আমার ভাইবোন, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ, দক্ষিণজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ মনোয়ার (আংকেল) এবং দক্ষিণজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ১৪ দিন পর জামিনে মুক্ত হই। এখনও রাগে, ক্ষোভে ঘুম আসে না। কাউকে আঘাত করে, একটু গালী দিয়ে, অন্যায় করে যদি জেলে যেতাম মনকে শান্তনা দিতে পারতাম। অন্য দশটা আসামীর মত আনন্দে থাকতাম।
আমার চৌদ্দগুষ্টি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রকৃত অনুসারী। আমিও প্রকৃত আওয়ামী পরিবারের সন্তান। দেশ ও সরকারের পক্ষে আমরা উৎসর্গিত। দেশ আমার, সরকার আমার, প্রশাসন আমার, থানা ও জেল সব আমার হওয়ার পরও বিনা অপরাধে, বিনা কারণে আমাকে জেল খাটতে হবে কেন? আমার অপরাধ আমি সুন্নী, আহলে সুন্নাত ও গাউসিয়া কমিটির কর্মী তাই?, বহু জামাত-শিবির, রাজাকাররা খোলস পাল্টিয়ে আজ সরকার দলের নেতা সেজেছে তাই? আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শ বুকে লালন করি, কারো দালালী এবং পদলেহন করতে পারি না তাই? আইন অন্ধ! তবে এতটা অন্ধ আগে জানতাম না। অসমাপ্ত।
লেখক: সংবাদ কর্মী ও সমাজ কর্মী
Leave a Reply