শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
প্রথমে প্রেমের মাধ্যমে সম্পর্ক গভীর। তার পর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘ এক বছর ধরে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন। অতঃপর পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি এক নারী। সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের হল রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন প্রতারনার শিকার ঐ নারী। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল গোলাম মোরশেদ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত । বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি নারী।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগি নারী বলেন, ২০২০ সালে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পরিচয়ের সুত্রধরে পুলিশ কনস্টেবল গোলাম মোর্শেদের সাথে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরিচয়ের প্রথম বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর দুজনের মধ্যে সরাসরি সাক্ষাত হয় চট্টগ্রামে । দীর্ঘ এক বছরের সম্পর্কের গভীরতায় প্রথম দিন দেখা হওয়ার পর তাঁকে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নগরীর চৌমুহনীস্থ হোটেল হলি ডে তে নিয়ে যায়। সেখানে মৌখিক কালেমা পাঠ করে বিয়ে করেছে মর্মে বিশ্বাস জম্মিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এর পর থেকে মোরশেদ একাধিকবার ঐ নারীর সাথে শারীরিকভাবে মিলিত হয়।ভুক্তভোগি নারী সাংবাদিকদের জানান, একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের এক পর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি মোরশেদের কাছে প্রকাশ করে । এর পর বিয়ের জন্য মোরশেদকে চাপ দিলে কৌশলে পুলিশ কনস্টেবল মোরশেদ চেক আপের কথা বলে কৌশলে গর্ভপাত ঘটায়। এর পর মোরশেদ হঠাৎ কওে তাঁর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এদিকে মেয়ের সাথে এমন প্রতারনার খবর মুনে গত আড়াই মাস আগে স্ট্রোক করে তাঁর বাবাও মারা যান। বিষয়টি নিয়ে সিএমপি পুলিশ সদওে দপ্তওে অভিযোগ দেয়ার পরও কোন প্রতিকার মিলেনি ভুক্তভোগি এ নারীর। অবশেষে চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। সেখানেও বিধি বাম তাঁর। আদালত মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিলেও দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা। এদিকে মামলা তুলে নিতে উল্টো ভুক্তভোগি এই নারীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোসহ নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে পুলিশ সদস্য মোরশেদ। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানলয়সহ পুলিশের উর্ধতন কর্তা ব্যক্তিদেও সহায়তা কামনা করেন তিনি।
Leave a Reply