শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
শ্রী শ্রী গুরুকূল ব্রহ্মচর্য্য আশ্রমের জায়গা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা জবর দখলের পাঁয়তারা করছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালের চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে গুরুকূল ব্রহ্মচর্য্য আশ্রমের ভক্তদের পক্ষে এই অভিযোগ করেন দয়াময় আশ্চর্য ডালিম।
তিনি বলেন, স্বর্গীয় দীনেশ চন্দ্র মিত্র ১৯৩৮ সালে ১০দ্রোন পূজা পার্বনের জন্য গুরুকুল গুরুকূল ব্রহ্মচর্য্য আশ্রমের এর কাছে দানপত্র মূলে দান করে । আশ্রমের নামে পি.এস ও বি.এস জরিপ আছে। এদিকে জবরদখলকারী সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আশ্রমের দর্শনার্থীদের নানাভাবে হয়রানিও নাজেহাল করে চলছে।ইতিমধ্যে ৫একর দেবোত্তর ভূমি দখল বেআইনিভাবে দখল করে নিয়েছে, বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আশ্রমের জায়গা দখল করার জন্য একের পর এক সাইনবোর্ড লাগিয়ে ২৩ একর দেবোত্তর সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অপতৎপরতাকারীদের বিরুদ্ধে আশ্রমের দায়ের করা মামলা নং১/২২ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ১২ই ফেব্রুয়ারি নিষেধাজ্ঞা আদেশ দেন। আদেশ বলাবৎ থাকার সত্ত্বেও ভূমিদস্যুরা ভূমি দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।তারা শুধু আদালত অবমাননা করে নাই, তারা শান্তিভঙ্গের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে জাল দলিল করে, রাতের আধারে পাহাড় কেটে দখল স্বত্ব দেখিয়ে সম্পত্তি বিক্রি অশুভ পাঁয়তারা করছে।
জবর দখলকারী ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে শ্রীশ্রী গুরুকুল আশ্রম মন্দির জায়গা দখলে ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ কমিশনারসহ স্থানীয় প্রশাসনসহ রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল পালিত, শ্রী শ্রী গুরুকূল আশ্রমের ভক্ত বিপুল রোদ, সুজিত চৌধুরি, রঞ্জিত সিকদার, কিশোর কুমার পাল।
Leave a Reply