শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান, আমাদের দেশের অহংকার প্রফেসর ড. আব্দুল করিমের আজ ১৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী।
১ জুন ১৯২৮ সালে বাঁশখালীর চাঁপাছড়ী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড.আব্দুল করিম।
ছোটবেলা থেকেই প্রতিটি পরীক্ষায় তিনি মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন।
১৯৫০ সালে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে অনার্স এবং এম.এ ডিগ্রিতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
১৯৫১ সালে ঢাবি’র ইতিহাস বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থেকে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্নে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন।
তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের প্রথম সভাপতি।
তিনি ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ম ডক্টরেট ডিগ্রী এবং ১৯৬২ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২য় বার ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত এ ইতিহাসবিদ ১৯৭৫–৮১ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি্ প্রশাসনিক কর্মের চাইতে ও গবেষণা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অনেক বেশি মনোযোগী ছিলেন এবং সফল হয়েছেন। উনার সময়কালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কর্মকাণ্ড অন্য সময়ের সাথে তুলনা করলে অনেক বেশি সমৃদ্ধ ছিল। তিনি ছাত্রদের এবং শিক্ষকদেরকে গবেষণা কাজে মনোযোগী হতে সর্বদা উৎসাহ দিতেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ এর বর্তমান ভবন এই প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ এর নামে নামকরণ করা হয়েছে।
ইতিহাস বিষয়ে অসংখ্য গ্রন্হের প্রণেতা, হাটহাজারী কলেজ ও পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রচার বিমুখ এ বরেণ্য ঐতিহাসিক ২৪ জুলাই ২০০৭ সালে ৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
তিনি অত্যন্ত সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন। অনেক ছাত্রদের পড়ালেখা করতে সহযোগিতা করেছেন, চাকুরী দিয়ে সুন্দরভাবে চলার পথ দেখিয়েছেন ।
তিনি ১৯৯৫ সালে “একুশে পদক” পেয়েছেন।
Leave a Reply