রবিবার, ০৩ জুলাই ২০২২, ১১:২৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে দুর্নীতিবাজ চক্র দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এই চক্রের সদস্যরা (অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী) আমদানিকারকদের নানা কৌশলে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
২য় পর্ব থেকে থাকছে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ধারাবাহিক প্রতিবেদন
তাদের মতে, এই শুল্ক স্টেশনে পোস্টিং পেয়েই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার নেশায় মেতে ওঠেন। আমদানিকারকদের গলা কাটতে তারা চাঁদাবাজি ও ঘুষ আদায়ের নিত্যনতুন কৌশল বের করেন। শতভাগ কায়িক পরীক্ষা হওয়ার পরও পণ্য পুনঃপরীক্ষার নামে চলছে হয়রানি।
এসব বিষয় নিয়ে যৌক্তিক বক্তব্য তুলে ধরা হলে আমদানিকারকের প্রতিনিধিদের রীতিমতো অপমান-অপদস্ত করা হয়। আইনের নানা ফাঁক-ফোকর বের করে কখনও কখনও আমদানিকারকদের ফাঁসিয়ে দেয়া হয়।
তাদের আরও অভিযোগ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে পণ্য চালান ছাড় করে দেয়া হয়। এতে কাস্টমসের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ও গাড়িবাড়ির মালিক বনে যান। টাকা আদায়ের জন্য বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত থাকে তাদের দালাল চক্র।
কাস্টমসে ফাইল স্বাক্ষর হলেও এই চক্রের মাধ্যমে রাতের আঁধারে বাসাবাড়ি কিংবা রেস্টুরেন্টেই হয় ঘুষের লেনদেন। আয়কর বিভাগ কিংবা দুদক থেকে বাঁচতে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের স্ত্রী-পুত্র কিংবা স্বজনদের নামেই সম্পদের পাহাড় গড়েন।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে দুর্নীতি ও হয়রানি প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরাও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। তবে একপক্ষের দ্বারা দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। আমদানিকারক বা ব্যবসায়ীদের যেমন ট্রান্সপারেন্ট হতে হবে তেমনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ট্রান্সপারেন্ট হতে হবে। দুই পক্ষের মধ্যে ট্রান্সপারেন্সি থাকলে তবেই দুর্নীতি বন্ধ হবে।’
Leave a Reply