মঙ্গলবার, ০৫ জুলাই ২০২২, ১২:১৫ অপরাহ্ন
সরকার দলীয় এম.পি’র আপন চাচা নৌকার প্রার্থী রসিদ আহম্মদ চৌধুরী পুলিশী সহায়তায় সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে । তাই থানা নির্বাহী অফিসার , বাঁশখালী অফিসার ইনচার্জকে প্রত্যাহার করে নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করার জন্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে দাবী জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাঁশখালী ৭ নং সরল ইউনিয়ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আহম্মদ এই দাবী জানান।
তিনি লিখিত বক্তব্যে দাবী করেন,নির্বাচন তপশীল ঘোষণা করায় আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে বিগত ১৩ই মে ২২ ইং রিটার্নিং অফিসারের বরাবরে মনোনয়ন পত্র দাখিল করি এবং পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে এই আশংকায় জেলা প্রশাসক বরাবরে ১১ই মে একটি আবেদন করি ।যাহাতে বাঁশখালী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ৭ নং সরল ইউনিয়নে মনোনয়ন পত্র বাছাই পর্ব না করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে করার জন্য আবেদন করার পরেও উক্ত আবেদনের কোন প্রতিকার পাইনি । নিরুপায় হয়ে বাছাই পর্বের দিন আমার পরিবর্তে একজন এডভোকেট প্রতিনিধি নিয়োগ করি । মনোনয়নপত্র বাছাইকালে আমার নিয়োগকৃত এডভোকেট প্রতিনিধি দাঁড়ালে রিটার্নিং অফিসারের সম্মুখে শতশত লোকের সামনে চোরের মত করে পিটিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে । এম.পি মোস্তাফিজুর রহমানের আপন চাচা রশিদ আহম্মদের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীরাই ঘটনার অবতারণা করে । সিনিয়র জেলা নির্বাচনী অফিসার ও আপীল কর্মকর্তার বরাবরে ফোনে ও পরবর্তীতে লিখিতভাবে অভিযোগ করি এবং আমার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার , চট্টগ্রাম , উপজেলা নির্বাহী অফিসার , বাঁশখালী , পাঁচলাইশ নির্বাচনী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার , বাঁশখালী , অফিসার ইনচার্জ , বাঁশখালী প্রমুখকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।বিগত ১৯মে আমি সহ আরো বাকী ৪ জনের মনোনয়ন পত্রের বৈধতা পায়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহরের দিন ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করে বাঁশখালী ও কোতোয়ালী থানায় দরখাস্ত দিয়ে রাখে আমাদেরকে পুলিশের মাধ্যমে থানায় নিয়া গিয়া বল প্রয়োগের মাধ্যমে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবে এই বিষয়ে আমি সহ অন্যান্যগণ বুঝতে পেরে এলাকার বাইরে অবস্থান করি । রশিদ আহম্মদের উক্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর বিগত ২৭শে মে ৩০ টি মোটর সাইকেলে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিদিন দুইবার করে পুলিশের ছত্রছায়ায় মহড়া দিচ্ছে । এহেন পরিস্থিতিতে এলাকায় জনগণের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে । সকল সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে আমাদের পোস্টার , ব্যানার সব ছিঁড়ে নিয়ে যায় । বিষয়টি আমি রিটার্নিং অফিসার , অফিসার ইনচার্জ , সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারকে অবহিত করি ।
বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি বা আমরা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীগণ কেহই এলাকায় অবস্থান করতে পারছি না ।তাই সুষ্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার,সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Leave a Reply