বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২, ০১:১৪ অপরাহ্ন
মোঃ মাহবুবুর রহমান
ভারতে নামি-দামি হসপিটালগুলোতে নিম্নবিত্তের মানুষেরাও সেবা নিতে পারে বিশেষ কিছু নীতিমালা ও প্রক্রিয়ায়। আর আমাদের দেশের ধনীরা একেবারে স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক । মানুষ স্বার্থপর হবে – এটা স্বাভাবিক। এটা হোক।কিন্তু মাত্রাটা বেশি হলেই সমস্যা।
এঁরা খালি নিজেদের টাকা আর লাভ বুঝে।দেশ ও সমাজের মানুষের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নাই।চিটাগাঙেও বেশকিছু ধনীলোক আছেন যাঁরা ভারতের উন্নত হাসপাতালগুলোর মত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।কিন্তু সেদিকে কোন চিন্তা নাই।আরে বাবা!পয়সা কয়েক জেনারেশনের বেশি থাকে না।অবশ্য যাঁরা প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে বেশি বেশি দান খয়রাত করেন,তাঁদের কথা ভিন্ন।যাই হোক,যে কথা বলছিলাম – আমাদের দেশে গরীব অস্বচ্ছলরা চাইলেও নামি হাসপাতালে যেতে পারছে না।এটার কারণ আমাদের পয়সাওয়ালারা কেবল নিজেদেরকে নিয়ে ভাবেন।আমি যতদূর জানি – আমাদের চট্টগ্রাম শহরে কিছু হাসপাতাল আছে যেগুলো ঐসব ভদ্রলোক দ্বারা পরিচালিত, যাঁরা নিজেদের ইসলামিক চিন্তা চেতনার ধারক বাহক হিসাবে পরিচিত হবার চেষ্টায় থাকেন কিংবা সাধারণ জনগণ অন্তত তাই ভাবেন তাঁদের নিয়ে।অথচ তাঁদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হাসপাতালগুলোতে গরীব অসহায়রা অবাঞ্চিত।এর সাথে এখন যুক্ত হয়েছে পাওয়ার রিলেটেড লোকজন।টাকা আর লাভের ভাগাভাগিতে আদর্শের চৈতন্য থাকে না।এখানে সব মিলেমিশে একাকার।চারুদত্ত আধারকারের ককটেলের মত।উত্তর ভারতে আছি ত।তাই যাযাবরের “দৃষ্টিপাত” উপন্যাসের কথাই মনে পড়ছে।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
Leave a Reply