রবিবার, ০৩ জুলাই ২০২২, ১১:১৯ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেছেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের বেড়ে ওঠার নিশ্চয়তা প্রদান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি পূর্ণাঙ্গ করতে না পারলে তার সফলতা পাওয়া যায় না। অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা গেছে, নগরীতে যে টিকাদান কর্মসূচী পালিত হয় তাদের মধ্যে জন্ম গ্রহনের পর শিশু টিকা নিলেও বাসাবাড়ি স্থানাস্তরিত হওয়ার কারণে একটা নিদিষ্ট সংখ্যক শিশু তাদের টিকার কোর্স সম্পন্ন করতে পারে না। এই সংখ্যা শতকরা ২০ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে। এ হার শূন্যতে নিয়ে আসতে হবে। টিকা দানের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যে ভূমিকা পালন করে আসছিল তা দেশব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ ধারা অব্যাহত রেখে শিশুদেরকে শতভাগ টিকা সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি কোভিড মোকাবেলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, কোভিড মোকাবিলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। টিকা দানের ক্ষেত্রেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদেরকে টিকাদানের ক্ষেত্রে এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতালে বিশ্ব টিকাদান কর্মসূচির অ্যাডভোকেসি সপ্তাহের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চসিক ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি জহর লাল হাজারী, সমাজ কল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম মাসুম, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কোডিনেটর ডা.ইমন প্রু চৌধুরী, ডা. সারোয়ার আলম, ডা. দিপা ত্রিপুরা, ডা. ইমাম হোসেন রানা, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা.হাসান মুরাদ চৌধুরী, ডা.সুমন তালুকদার, ডা. জুয়েল মহাজন, ডা.নাসিম ভূঁইয়া, ডা.তপন চক্রবর্তী, আবু ছালেহ প্রমুখ।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র আরো বলেন, একত্রিশে মে’র মধ্যে এই টিকাদান কর্মসূচি শেষ করতে হবে। তবে কোনো শিশু যাতে এ টিকার আওতার বাইরে না থাকে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী স্বাস্থ্য সেবাকে নগরবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছানোর জন্য যে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সকলের প্রতি অহ্বান জানান। সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তা চেতনার কারণে আমরা অনেক উন্নত দেশের চাইতেও কোভিড মোকাবিলায় বেশি সফল হয়েছি। বিশেষ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম জেলার স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড মোকাবেলায় সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে। এতে অনেকের প্রাণহানি হয়েছে তথাপি যে সফলতা অর্জিত হয়েছে তা প্রণিধানযোগ্য। তিনি যারা দ্বিতীয় ডোজ কোভিড টিকা গ্রহণ করে চার মাস অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে তৃতীয় ডোজ টিকা টিকা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি প্রসঙ্গক্রমে বলেন, কোভিড টিকার কোনো ধরনের ঘাটতি নেই। সুতরাং টিকার পর্যাপ্ততার কারণে সবাই বুস্টার ডোজ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে কেউ অবহেলা করলে আবারো সংক্রমণের ঝুঁকি তে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Leave a Reply