মঙ্গলবার, ০৫ জুলাই ২০২২, ১২:৩০ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় অতিবর্ষণ জনিত কারণে নগরীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল অবস্থা নিরসন এবং যান ও জন চলাচল উপযোগী করে স্বাভাবিক পর্যায়ে উন্নীত করণে মেরামত ও সংস্কার কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে। তিনি আজ শনিবার নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, অতি বৃষ্টি জনিত ও একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যান ও জন চলাচলের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক উপযোগিতা হারিয়েছে। এ সময় সড়কে আপাতত: খানা-খন্দক ভরাট করে কিছুটা যান চরলাচল উপযোগী করা হলেও বর্ষার কারণে স্থায়ী সমাধানে বাস্তব কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। আমি আগামী ডিসেম্বরে নগরীর বেয়াল সড়কের ঝকঝকে রূপ দেখতে চাই।
মেয়র নগরবাসীকে আশ^স্থ করেন যে, এখন বর্ষা ও অতি বর্ষণ অতিক্রান্ত এবং শুষ্ক মৌসুম বিদ্যমান। তাই সুযোগ এসেছে বর্ষণসহ নানাবিধ কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ও বেহাল সড়কগুলোর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার। তাই চসিকের প্রকৌশল বিভাগকে রাত-দিন সার্বক্ষণিকভাবে এ কাজে নিয়োজিত ও সক্রিয় রাখা হয়েছে। অস্বীকার করার উপায় নেই, ক্ষতিগ্রস্থ ও বেহাল সড়কের কারণে যথেষ্ট নাগরিক দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। মানুষের মূল্যবান সময় অপচয় ও স্বাভাবিক নাগরিক জীবন-যাপন ব্যাহত হয়েছে। ঐ পরিস্থিতিতে আপাতত:সাময়িক ব্যাক-আপ দেয়া হলেও স্থায়ী সমাধান দেয়া সম্ভব ছিল না ; এর বড় কারণ অতি বর্ষণ। তবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বেহাল সড়ক সংস্কার, মেরামত ও স্বাভাবিক স্তরে উন্নীত করণে স্থায়ী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পদক্ষেপসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেই ভাবেই সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। এর সুফল আগামী ডিসেম্বর মাসেই পাওয়া যাবে।
তিনি জানান, নগরীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে জাইকার অর্থায়নে এ্যাসপল্ট প্লান্টের মাধ্যমে মাঝির ঘাট রোড, স্ট্রান্ড রোড, পিসি রোডের কাজ দ্রæত গতিতে এগুচ্ছে। আইস ফ্যাক্টরী রোডে নালার রিটেনিং ওয়ালের কারণে কাজ শুরু করা না গেলেও এখন ঐ সমস্যা আর নেই। সেখানে এখন রোড কার্পেটিং কাজ চলছে। এই কাজগুলো ডিসেম্বরে শেষ হবে। এছাড়া মেহেদীবাগ রোড, হালিশহর আনন্দ বাজার রোড, আবদুল লতিফ রেড, কে.বি আমান আলী রোডের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই বাইরে প্যাঁচ ওয়ার্ক কাজ চলামান রয়েছে। এ-সক কাজ তদারকী ও মান যাচাইয়ে কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আজ শনিবার দিনব্যাপী নগরীর সড়ক উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শনকালে মেয়রের সাথে ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, তৌহিদুল ইসলাম, আশিকুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক প্রমুখ।
Leave a Reply