শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলা কমিটি অবৈধ। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক কমিটি চট্টগ্রাম মহানগর,উত্তর ও দক্ষিণ ।দুষ্কৃতিকারী সাম্প্রদায়িক চক্র ও মানবতার শত্রুরা পূজা চলাকালীন কোন অপকর্ম না করতে পারে তার জন্য অতন্দ্র প্রহরী হয়ে পূজা মন্ডপে সবাইকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
আজ দুপুরের সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ ও দাবী করেন সংগঠনের সভাপতি শ্রী নটু কুমার ঘোষ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর , চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা পূজা পরিষদ সাংগঠনিকভাবে বিভক্ত হয়ে পূজা পরিষদের কর্মকান্ড বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে গঠনতান্ত্রিক নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে । চট্টগ্রাম উত্তর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিগত ২৩ ( তেইশ ) বছর যাবৎ চট্টগ্রাম উত্তর জেলার ৭ টি উপজেলা ও ৮ টি থানা পূজা পরিষদের সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে । এ বছরও মীরসরাই , সীতাকুন্ড , সন্দ্বীপ হাটহাজারী , ফটিকছড়ি , রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া এই ৭ টি উপজেলা ও ভুজপুর এবং জোরারগঞ্জ থানাসহ সর্বমাটে ৮২০ টি পুজামন্ডপে এবার শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের সকল প্রভৃতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে । বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখা মনিটরিং কমিটিতে আমাদের অন্তর্ভুক্তি রয়েছে । তবে জবরদখল , মন্দিরে হামলা , প্রতিমা ভাংচুর এর মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা এখনো ঘটে চলেছে । তাই আমরা শংকিত বর্তমান সরকার মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান আপাতত সামাল দিতে পারলেও তাদের গোপন কার্যক্রম এখনো চলেছে । তা সত্ত্বেও আমরা প্রত্যাশা রাখি বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় এবারে শারদোৎসব সুষ্ঠু ও শান্তি শৃঙ্খলার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে । দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত দাবীর প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ একাত্মতা রয়েছে । দাবীগুলো সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে । দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে দেবোত্তর বোর্ড গঠন । শত্রু সম্পত্তি আইনের মাধ্যমে বেহাতকৃত সম্পত্তি প্রকৃত উত্তরাধিকারীর কাছে হস্তান্তর । হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর পরিবর্তে হিন্দু ফাউন্ডেশন গঠন । জীবন জীবিকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধর্মীয় বৈষম্যের অবসান
। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সকল অধিকার ও সম – মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই । দুর্গোৎসব উপলক্ষে ০৪ ( চার ) দিনের সরকারী ছুটি ঘোষণা চাই । সীতাকুন্ড মহাতীর্থকে জাতীয় তীর্থস্থান ঘোষণা করা । ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যার মধ্যে মাতৃ প্রতিমা বিসর্জন নিশ্চিত করতে হবে । তবে কোনভাবে এ বিসর্জন রাত ৮ টার পর করা যাবে না । কেননা এইক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে । শারদীয় দুর্গোত্সব চলাকালীন সরকারী – বেসরকারী সকল প্রকার স্কুল – কলেজ – বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা। অবশ্যই পালনীয় ১। রাত ১২ টার মধ্যে প্রতিমা দর্শনার্থীরা পূজা মন্ডপ ত্যাগ করবেন । সন্ধ্যা আরতি রাত ১২ টার মধ্যে শেষ করতে হবে । পূজা মন্ডপে নিজস্ব অর্থায়নে বৈদ্যুতিক জেনারেটর এর ব্যবস্থা রাখতে হবে । রাত ১২ টার মধ্যে প্রতিমা দর্শনার্থীরা পূজা মন্ডপ ত্যাগ করবেন । সন্ধ্যা আরতি রাত ১২ টার মধ্যে শেষ করতে হবে । নামাজের সময় মাইক , লাউড স্পিকার এবং উচ্চ শব্দ বিশিষ্ট বাজনা বন্ধ রাখতে হবে । মাদক সেবনকারীদের পূজা মন্ডপে অবস্থানের সুযোগ দেওয়া যাবে না ।
সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শ্রী নিখিল কুমার নাথ, সাবেক সভাপতি বাবু পরিতোষ কান্তি পাল ,যুগ্ন-সম্পাদক ত্রিদীপ কুমার সাহা, বাবু রূপক কান্তি দেব, বাবু লিপটন দেবনাথ লিপু, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক রুবেল দে, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু পার্থ নন্দী, হাটহাজারী সভাপতি বাবু সুমন আশ্চর্য, মোহনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার সুমন কুমার দে, বাবু নয়ন চৌধুরী ,বাবু অরুণ চৌধুরী, বাবু আশীষ চক্রবর্ত্তী, বাবু লিংকন দেবনাথ ,বাবু অজিত দে, বাবু ইমন চৌধুরী, বাবু দে প্রমুখ।
Leave a Reply