শনিবার, ২১ মে ২০২২, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকার আমলে ৫টি মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে ৫ বছর থাকতে হয়েছে জেলে। এরআগে বিএনপির ক্যাডাররা তার হাত-পা ভেঙ্গে দেয়, ছুরি মেরে ভূরি পর্যন্ত বের করে ফেলে। বউ বাচা মিয়ে বিএনপির দুঃশাসনে এলাকায় যেতে পারেনি। মাথা গোছার নেই কোন নিজস্ব ঠ্াঁই। অসুস্থ শরীর নিয়ে অনিশ্চিত জীবন কাটছে তার। এমন কথাগুলো বলে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলেন সীতাকুন্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বাদশা মিয়ার সন্তান মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বাবা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিএনপি-জামায়াত আমাদের পরিবারের উপর যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারাসীতাকুন্ডের দক্ষিণ ইদুলপুর এলাকায় বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে আমাদের পরিবারের উপর নির্মম নির্যাতন করে। ১৯৯৫ সালে আমার পিতা মারা গেলেও তাকে জানানো হয়নি রাষ্ট্্িরয় মর্যাদা। আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক তৎপরতা চালানোর অভিযোগে আমাদের পরিবারের বারবার হামলা করে বিএনপির ক্যাডাররা। আমার হাতের কব্জি, পেটে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আঘাত করে, শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি করে আমাকে এক প্রকার পঙ্গ বানিয়ে দেয়। ৫টি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলের ঘাঁনি ঠানতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। এখন অসুস্থ স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
সংবাদ সম্মেলনে নজরুল বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ভূমিহীনদের ঘর দেওয়ার জন্য সীতাকু- উপজেলাও বরাদ্ধ দিয়েছিল। আমিও সেখানে আবেদন করি। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমি ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান উল্লেখ করে আমাকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘর দেওয়ার অনুরোধ করে ইউএনও-এর কাছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আমার কপালে জোটেনি ঘর বরাদ্দের টাকা।
মোহাম্মদ নজরুল বলেন, মনে অনেক চাপা কষ্ট নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ঘুরেছি একটু সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য। কিন্তু কেউ সুযোগ করে দেননি। মানবতার মা খ্যাত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একবার সাক্ষাতের সুযোগ পেলে মনের মধ্যে চাপা কষ্টগুলো শেষ হয়ে যেতো।
সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রিয় কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply