অনেকের মতে সৌন্দর্য স্বভাবতই অপ্রমত্ত কারণ পৃথিবীতে সৌন্দর্যই পরিপূর্ণতার আদর্শ। সৌন্দর্য চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। সৌন্দর্যের প্রতি আমাদের সকলেরই খুব আকর্ষণ। কিন্তু আসলেই কি তাই? নারীর সৌন্দর্য্যের প্রতিও কি তবে সবার আকর্ষণ, নাকি গুণ। সৌন্দর্য্যে আকর্ষণ খাকলেও নারীর গুণকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। কীভাবে সেটা জেনে নিন।
নারীর ব্যক্তিত্ব
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রথমবার নারীর সৌন্দর্য্যের দিকে লক্ষ্য দিলেও দ্বিতীয়বার সব পুরুষের মনেই নারী চরিত্রের প্রভাব বেশি পড়েছে। অর্থাৎ চেহারার চেয়ে স্বভাব-চরিত্রকেই বেশি গুরুত্ব দেন পুরুষরা৷
প্রযুক্তির ব্যবহার
যেহেতু আজকাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্লাস্টিক সার্জারি করে শরীর বা চেহারাকে ইচ্ছেমতো বদলে ফেলা যায়৷ আর ফটোশপের মাধ্যমে চেহারার অনেক ক্রুটি ঢেকে ফেলা সম্ভব। তবে আপনি যদি কর্মোদ্যম এবং যোগ্যতাশীল না হন তবে সব সৌন্দর্য্যই অপ্রয়েজনীয় হয়ে থাকবে।
মেকআপ হলো পেন্টিং
বর্তমানে মেকআপ -এর মাধ্যমে নারীদের সুন্দর ও আকর্ষণীয় দেখানো সম্ভব। কিন্তু মেকআপ হলো অনেকটা বাড়ির পেন্টিং-এর মতো৷ আর তাই নারীর ব্যক্তিত্ব, চরিত্র ও ব্যবহার সুন্দর না হলে মেকআপের কোনো মূল্যই নেই।
সুন্দর ব্যবহার
ভাল ব্যবহার, আন্তরিকতা ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কোনও নারীকে যখন ভালও লেগে যায় তখন তার নাকটা একটু বাঁকা নাকি সে দেখতে একটু মোটা, তা নগণ্য হয়ে যায়৷ প্রথম পরিচয়ে তো আর কেউ শুধু গায়ের রং বা চেহারা দেখে না, ব্যবহারটাও তখন বড় ব্যাপার হয়।
সুন্দর হাসির জয় সর্বত্র
নারীর হাসি মুখের কদর পুরুষদের কাছে অনেক বেশি৷ শতকরা প্রায় ৯০ জন পুরুষই হাসি মুখের পক্ষে৷ এমনও দেখা গেছে, হাসি মুখের নারীটি হয়তো হাসি ছাড়া নারীর চেয়ে কম সুন্দরী৷ আসলে মানুষ হাসলে অন্যের কাছে সে সহজে গ্রহণযোগ্যতা পায় এবং তাকে কিছুটা নরম ও বন্ধুত্বসুলভ বলে মনে হয়৷
Leave a Reply